প্রকাশিত: ০৬/০৬/২০১৬ ৭:০১ এএম

নিজস্ব প্রতিনিধি, হ্নীলা::
টেকনাফে লেদার ৫জইন্যা “ইয়াবা সিন্ডিকেট” হ্নীলা এলাকায় এখন মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রশাসনিক নজরদারীর অভাবে ইয়াবা সিন্ডিকেটটি দিন দিন আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যখন লো-প্রোফাইলে তখন এই ৫জইন্যা “ইয়াবা সিন্ডিকেট” দিবারাত্রি প্রকাশ্যে ইয়াবা আমদানী-রপ্তানী করছে। এদের চলনে-বলনে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। উক্ত “ইয়াবা সিন্ডিকেট”র চালান ঢাকা-চট্টগ্রামে পাচার করতে গিয়েই স্থানীয় অনেকে কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। লেদা মৌলভীপাড়া এলাকায় বসবাসকারী বার্মাইয়্যা কাদির হোছন প্রকাশ বেলা কাদিরের ছেলে জুহুর আলম, নুরুল আলম, নুরুল ইসলাম, মোঃ নুর, বদর উদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ আমিন সিন্ডিকেট সদস্য। নেতৃত্ব দিচ্ছে ইয়াবা জুহুর আলম, নামকরা স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ী ও ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার জনৈক রমজান আলী। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে “ইয়াবা সিন্ডিকেট”র নেতা অশিক্ষিত ইয়াবা কারবারী জুহুর আলম অর্ধকোটি টাকা খরচ করে ডাকঢোল পিটিয়ে সিন্ডিকেট সদস্য আমিনের বোন বদর উদ্দিন সরকারের সুশিক্ষিতা কন্যাকে বিয়ে করে এলাকায় রীতিমত তাক লাগিয়ে দেয়। উক্ত সিন্ডিকেটের লোকজন এখন লেদা এলাকায় যা ইচ্ছে তা করে বেড়াচ্ছে। ৫জইন্যা ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিভাবক এবং স্থানীয় সচেতন মহল ইউএনও, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর বরাবরে পৃথক লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনসুত্র জানায়, জাদীমুরা ওমর খাল, লেদা ও আলীখালী খাল দিয়ে রাতে, সুযোগ বুঝে দিনের বেলায় বস্তা বস্তা ইয়াবা আমদানী করছে। ওমর খাল দিয়ে ইয়াবা তুলে অস্ত্র শস্ত্র সজ্জ্বিত হয়ে ন্যাচারপার্কের ভেতর দিয়ে পাহাড়ে পাহাড়ে লেদায় নিয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এক প্রবাসীর স্ত্রী রশিদা এবং এরকম আরো অনেকের বাড়ী ও বসতভিটায় ইয়াবার বস্তা জমা রাখে। পরবর্তীতে গাড়ীর যোগানের মাধ্যমে বড় বড় ইয়াবার চালান ঢাকা-চট্টগ্রামে পাচার করে। তাদের মালিকানাধীন ৭টি ট্রাক-মিনি ট্রাক, নোহা গাড়ী, মাস অন্তর রং পরিবর্তন করে কৌশলে ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করছে। আনসার ক্যাম্পে হামলা, অস্ত্র গোলা বারুদ লুটের পর প্রশাসনের দৃষ্টি যখন অন্যদিকে ঠিক শক্তিশালী এই ইয়াবা সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে মাদক আমদানী-রপ্তানী করছে। লেদা-জাদীমুরা সীমান্তে ইয়াবা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে “ইয়াবা সিন্ডিকেট”র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসী ২বিজিবির অধিনায়ক আবুজার আল জাহিদ ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আমরা সব সময় জিরো টলারেন্স। অভিযুক্ত ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে লেদাকে ইয়াবামুক্ত করা হবে।

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...